পৃথিবী কাঁপানো এক হ্যাকারের গল্প "জনাথন জেমস" [World Top Hacker Jonathan James Comrade]
Web Link : https://ift.tt/2lJ94OI এই হ্যাকারের নাম জনাথন জেমস(Jonathan James) । মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি সাড়া বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন । তার আরো একটা নাম আছে । যেটা দিয়ে তাকে হ্যাকিং জগতে সবাই চিনে নামটি হলো "কমরেড(cOmraDe)" । তিনি বেল সাউথ,মিয়ামি-ডেড,আমেরিকার ডিফেন্স (The U.S Department of Defense) এবং পরম শক্তিশালী নাসা সহ আরো অনেক বড় বড় ওয়েবসাইট হ্যাক করেছিলেন । আজ এই ব্যক্তির সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ ছেলের ইচ্ছাতে জেমসের বাবা তাকে ছোট বেলায় কম্পিউটার কিনে দিয়েছিলেন । হতে হতে তিনি কম্পিউটারের প্রতি খুব আসক্ত হয়ে পরেন । তের বছর বয়সে একবার ছেলের কম্পিউটারের নেশা মাত্রা ছাড়াচ্ছে দেখে তার কম্পিউটার জব্দ করেন বাবা রবার্ট জেমস। তার মনে হলো তার কাছ থেকে তার হার্ট উঠিয়ে নেয়া হয়েছে । তখন তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান, রাস্তার মোড় থেকে টেলিফোনে হুমকি দেন- আর বাড়ি ফিরবেন না যদি কম্পিউটার ফেরত না দেয়া হয়। ছবিঃ বাল্য বয়সে জেমস মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে প্রোগ্রামিং শিখতে শুরু করেন জেমস, জানতেন ইউনিক্স আর সি প্রোগ্রামিং ভাষা। কম্পিউটার ক্লাসের পাশাপাশি অনলাইনে ঘুরে ঘুরে শিখতেন তিনি। আর এ বিদ্যার উপর ভর করেই এক বছরের মাথায় হ্যাক করেন নাসা আর প্রতিরক্ষা বিভাগের সাইট। হ্যাকার কমিউনিটিতে তিনি কমরেড জন নামেও বহুল পরিচিত। ১৯৯৯ সালের ২৩ আগস্ট থেকে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে জেমস তার মেধাকে কাজে লাগিয়ে ভাইরাস সম্পর্কে তার চিন্তা শক্তিকে অনেক দূর নিয়ে যান। এমন কি তিনি তখন মাত্র ১৫ বছর বয়সে বেল-সাউথ, মিয়ামি ডেড, আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগ এবং নাসার ওয়েব সাইট হ্যাক করেন। এছাড়াও সে ব্যাকডোর কম্পিউটিং এর মাধ্যমে ডালাস এবং ভিরজিনার সার্ভারে একটি স্নিফার ইন্সটল করেন। যার মাধ্যমে তিনি ওই সব স্থানের প্রায় তিন হাজার তথ্য চুরি করেন। যার মধ্যে ছিল ওই এলাকা গুলোর সকল চাকুরীজিবিদের তথ্য এমন কি কমপক্ষে ১০ টি অফিশিয়াল মিলিটারী কম্পিউটারের তথ্য। ফলে জেমসকে জেলেও যেতে হয়। চিত্রঃ cOmraDe জেমস নাসার ওয়েব সাইট হ্যাক করে এবং সেখান থেকে প্রায় ১.৭ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমান মূল্যের একটি সফটওয়ার এর সোর্সকোড ডাউনলোড করে। নাসার মতে জেমস যে সফটওয়্যারগুলো চুরি করেছিল সেগুলো দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন নিয়ন্ত্রন করা হয়। জেমস নাসার ওয়েব সাইটে যে ক্ষতি করেছিলো সেটি ঠিক করতে নাসার ওয়েবসাইট তিন সপ্তাহ বন্ধ রাখতে হয়। অপরদিকে এটি ঠিক করতে নাসা কে গুনতে হয় প্রায় আরো ৪১,০০০ ডলার। প্রতিরক্ষা দপ্তর, নাসা এবং স্থানীয় পুলিশ থেকে এজেন্টদের একটি দল জানুয়ারী ২৬, ২০০০ তারিখে আনুমানিক সকাল ৬টায় জেমসের বাড়িতে অভিযান চালায়। এরপর ২০০০ সালের অক্টোবর মাসে তাকে ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়। মুক্তির পর তাকে ১৮ বছর বয়স প্রর্যন্ত করা নজরদারিতে রাখা হয় এবং নাসা ও প্রতিরক্ষা দপ্তর এর কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি লিখতে হয়েছিল। এসময় তার কম্পিউটার ব্যবহারের উপরেও বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ২০০৭ সালে টিজেএক্স নামের একটি কোম্পানীর ওয়েব সাইট বেশ বড় একটা হ্যাকিং এর ঘটনা ঘটে। যার ফলে ওই কোম্পানীর অনেক ক্লাইন্টের ব্যাক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে যায়। এছাড়াও বস্টন মার্কেট, বার্নেস এয়ান্ড নোবেল, স্পোর্টস অথরিটি, ফরেভার-২১, অফিস ম্যাক্স এবং ডেভ বাস্টার্স সহ আরো কিছু বড় বড় প্রতিষ্ঠানেও একি ধরনের হ্যাকিং এর ঘটনা ঘটে। যদিও জেমস অস্বীকার করেন যে, তিনি এগুলোর সঙ্গে জড়িত নন, তবুও তাকে বিভিন্ন তদন্তের সম্মুখীন হতে হয়। এরপর তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের তদন্তের মাধ্যমে দেখেন যে এই ঘটনাতে জে,জে, নামে অন্য একজন জড়িত। নামের সাথে মিলে যাওয়াতে জেমস তাদের প্রধান লক্ষ্যতে পরিনত হন। এরপর ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল জেমস এর মৃত দেহ তার বাথরুমে পাওয়া যায় । ঐ সময় তার কিছু শত্রু ছিলো যারা সাইট হ্যাক করে সাইটে জনাথন জেমসের নাম লিখে পোস্টার টাঙিয়ে দিতো । তিনি বুঝতে পারেন যে এটা প্রমাণের তার কাছে কোন প্রমাণ নেই । তাই সে তার বাবার পিস্টল দিয়ে নিজেই নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন । হ্যাকিং করার এই ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ প্রমান করার আর কোন উপায় না পেয়ে সে আত্মহত্যা করে এবং মৃত্যুর আগে এই নোট রেখে যান, “ I honestly, honestly had nothing to do with TJX,I have no faith in the 'justice' system. Perhaps my actions today, and this letter, will send a stronger message to the public. Either way, I have lost control over this situation, and this is my only way to regain control. "
YouTube https://youtu.be/8uKgqqK2v4s
Web Link : https://ift.tt/2lJ94OI এই হ্যাকারের নাম জনাথন জেমস(Jonathan James) । মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি সাড়া বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন । তার আরো একটা নাম আছে । যেটা দিয়ে তাকে হ্যাকিং জগতে সবাই চিনে নামটি হলো "কমরেড(cOmraDe)" । তিনি বেল সাউথ,মিয়ামি-ডেড,আমেরিকার ডিফেন্স (The U.S Department of Defense) এবং পরম শক্তিশালী নাসা সহ আরো অনেক বড় বড় ওয়েবসাইট হ্যাক করেছিলেন । আজ এই ব্যক্তির সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ ছেলের ইচ্ছাতে জেমসের বাবা তাকে ছোট বেলায় কম্পিউটার কিনে দিয়েছিলেন । হতে হতে তিনি কম্পিউটারের প্রতি খুব আসক্ত হয়ে পরেন । তের বছর বয়সে একবার ছেলের কম্পিউটারের নেশা মাত্রা ছাড়াচ্ছে দেখে তার কম্পিউটার জব্দ করেন বাবা রবার্ট জেমস। তার মনে হলো তার কাছ থেকে তার হার্ট উঠিয়ে নেয়া হয়েছে । তখন তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান, রাস্তার মোড় থেকে টেলিফোনে হুমকি দেন- আর বাড়ি ফিরবেন না যদি কম্পিউটার ফেরত না দেয়া হয়। ছবিঃ বাল্য বয়সে জেমস মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে প্রোগ্রামিং শিখতে শুরু করেন জেমস, জানতেন ইউনিক্স আর সি প্রোগ্রামিং ভাষা। কম্পিউটার ক্লাসের পাশাপাশি অনলাইনে ঘুরে ঘুরে শিখতেন তিনি। আর এ বিদ্যার উপর ভর করেই এক বছরের মাথায় হ্যাক করেন নাসা আর প্রতিরক্ষা বিভাগের সাইট। হ্যাকার কমিউনিটিতে তিনি কমরেড জন নামেও বহুল পরিচিত। ১৯৯৯ সালের ২৩ আগস্ট থেকে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে জেমস তার মেধাকে কাজে লাগিয়ে ভাইরাস সম্পর্কে তার চিন্তা শক্তিকে অনেক দূর নিয়ে যান। এমন কি তিনি তখন মাত্র ১৫ বছর বয়সে বেল-সাউথ, মিয়ামি ডেড, আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগ এবং নাসার ওয়েব সাইট হ্যাক করেন। এছাড়াও সে ব্যাকডোর কম্পিউটিং এর মাধ্যমে ডালাস এবং ভিরজিনার সার্ভারে একটি স্নিফার ইন্সটল করেন। যার মাধ্যমে তিনি ওই সব স্থানের প্রায় তিন হাজার তথ্য চুরি করেন। যার মধ্যে ছিল ওই এলাকা গুলোর সকল চাকুরীজিবিদের তথ্য এমন কি কমপক্ষে ১০ টি অফিশিয়াল মিলিটারী কম্পিউটারের তথ্য। ফলে জেমসকে জেলেও যেতে হয়। চিত্রঃ cOmraDe জেমস নাসার ওয়েব সাইট হ্যাক করে এবং সেখান থেকে প্রায় ১.৭ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমান মূল্যের একটি সফটওয়ার এর সোর্সকোড ডাউনলোড করে। নাসার মতে জেমস যে সফটওয়্যারগুলো চুরি করেছিল সেগুলো দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন নিয়ন্ত্রন করা হয়। জেমস নাসার ওয়েব সাইটে যে ক্ষতি করেছিলো সেটি ঠিক করতে নাসার ওয়েবসাইট তিন সপ্তাহ বন্ধ রাখতে হয়। অপরদিকে এটি ঠিক করতে নাসা কে গুনতে হয় প্রায় আরো ৪১,০০০ ডলার। প্রতিরক্ষা দপ্তর, নাসা এবং স্থানীয় পুলিশ থেকে এজেন্টদের একটি দল জানুয়ারী ২৬, ২০০০ তারিখে আনুমানিক সকাল ৬টায় জেমসের বাড়িতে অভিযান চালায়। এরপর ২০০০ সালের অক্টোবর মাসে তাকে ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়। মুক্তির পর তাকে ১৮ বছর বয়স প্রর্যন্ত করা নজরদারিতে রাখা হয় এবং নাসা ও প্রতিরক্ষা দপ্তর এর কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি লিখতে হয়েছিল। এসময় তার কম্পিউটার ব্যবহারের উপরেও বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ২০০৭ সালে টিজেএক্স নামের একটি কোম্পানীর ওয়েব সাইট বেশ বড় একটা হ্যাকিং এর ঘটনা ঘটে। যার ফলে ওই কোম্পানীর অনেক ক্লাইন্টের ব্যাক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে যায়। এছাড়াও বস্টন মার্কেট, বার্নেস এয়ান্ড নোবেল, স্পোর্টস অথরিটি, ফরেভার-২১, অফিস ম্যাক্স এবং ডেভ বাস্টার্স সহ আরো কিছু বড় বড় প্রতিষ্ঠানেও একি ধরনের হ্যাকিং এর ঘটনা ঘটে। যদিও জেমস অস্বীকার করেন যে, তিনি এগুলোর সঙ্গে জড়িত নন, তবুও তাকে বিভিন্ন তদন্তের সম্মুখীন হতে হয়। এরপর তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের তদন্তের মাধ্যমে দেখেন যে এই ঘটনাতে জে,জে, নামে অন্য একজন জড়িত। নামের সাথে মিলে যাওয়াতে জেমস তাদের প্রধান লক্ষ্যতে পরিনত হন। এরপর ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল জেমস এর মৃত দেহ তার বাথরুমে পাওয়া যায় । ঐ সময় তার কিছু শত্রু ছিলো যারা সাইট হ্যাক করে সাইটে জনাথন জেমসের নাম লিখে পোস্টার টাঙিয়ে দিতো । তিনি বুঝতে পারেন যে এটা প্রমাণের তার কাছে কোন প্রমাণ নেই । তাই সে তার বাবার পিস্টল দিয়ে নিজেই নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন । হ্যাকিং করার এই ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ প্রমান করার আর কোন উপায় না পেয়ে সে আত্মহত্যা করে এবং মৃত্যুর আগে এই নোট রেখে যান, “ I honestly, honestly had nothing to do with TJX,I have no faith in the 'justice' system. Perhaps my actions today, and this letter, will send a stronger message to the public. Either way, I have lost control over this situation, and this is my only way to regain control. "
YouTube https://youtu.be/8uKgqqK2v4s
Post a Comment