দেহ-মস্তিষ্ক-মন-আত্মা সবকিছুর উন্নতি ঘটায় মেডিটেশন বিগত কয়েক বছর ধরে মেডিটেশন মানুষের দারুণ উপকার বয়ে আনছে।
এতে দেহ ও মনসহ বহুবিধ উন্নতি সাধিত হচ্ছে। এখানে মেডিটেশনের বহুবিধ উপকারিতা তুলে দেওয়া হলো।প্রাণ শক্তি ও অক্সিজেনে ভরপুর রক্তধারা সঞ্চালিত হয় দেহের প্রতিটি কোষে ও কলায়। যার ফলে দেহের সর্বত্র ক্রমাগতভাবে রাসায়নিয়া ক্রিয়া চলতে থাকে।শিশু সন্তান বেড়ে ওঠে প্রাপ্তবয়স্ক হয় প্রাকৃতিক নিয়মে।কালে কালে লিদ,ক্যাডমিমাম বা অ্যালুমিনিয়ামের মতো ভারী ধাতুর দ্বারা ধমনিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলে রাসায়নিয়া ক্রিয়া হ্রাস পায়।
কোলেস্টেরলের মতো মেদজাতীয় উপাদান ক্যালসিয়াম কণার সঙ্গে যুক্ত হতে শুরু করে। ধমনির ভিতরে এভাবে সূচনা হয় প্লাকি বা অবরোধের। যা মারাত্নাক হুমকি হয়ে উঠে হৃদযন্ত্রের জন্য।
স্বাভাবিক রক্তচলাচলের পথে এই অবরোধ সৃষ্টির কারণে হার্ট অ্যাটাক হ্য।মানুষের বেঁচে জন্য যেমন খাদ্যের প্রয়োজন তেমনি রোগাক্লান্ত হলে প্রয়োজন চিকিৎসার। তাই হৃদরোগের চিকিৎসা হিসাবে প্রচলিত বহুল আলোচিত দুটি পদ্ধতি বাইপাস ও স্ট্যান্টিং।
এ দুটিই অপারেশন । অনেক সময় ডাক্তার পরীক্ষা –নিরীক্ষা রোগীর বাইপাস সার্জারি বা স্ট্যান্টিং করার মতো অবস্থা নেই বা অত্যন্ত ঝঁুকিপূণ। হেপাটাইটিস বি পজিটিভ থাকলে সার্জনরা অপারেশন করতে অনিচ্ছুক। হৃদরোগ প্রতিরোধে মেডিটেশন এখন স্বীকৃত ও জনপ্রিয় একটি মাধ্যম ।
তাই মেডিটেশনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে ।
আত্মা ও মন যে শরীরে রোগের উপর প্রভাব ফেলে তা অনেকে না মানলেও এটা যে ধ্রুব সত্য তা আজ বিশ্ব মেনে নিয়েছে এবং আত্মা, মনও দেহ মেডিটেশন একটি বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।জনপ্রিয় কারণগুলো হলো -
১. এর ফলে আপনার মন অনেক শান্ত থাকবে
২. অবান্তর দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে যার ফলে কাজ কর্মে মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে !
৩. রাগ সবসময় নিয়ন্ত্রণে থাকবে (এই একটা অনুভূতি যে কতখানি ভয়ংকর আর নির্বোধ হতে পারে ,যা চাক্ষুষ না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবেনা !)
৪.স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পাবে
৫. চিন্তা করার ক্ষমতা আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পাবে
৬. কানে শুনার ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাবে !
৭. সাবকনশাস মাইন্ড অনেকবেশী শক্তিশালী হবে ,যার ফলে মন নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকবে ! আর এসবের ফলে নামাজ, বাক্তিগত জীবনধারা কিংবা কর্মক্ষেত্রে অনেক অনেক পরিবর্তন আসবে !
আর শারীরিক যেসব পরিবর্তন করে থাকে তাহলো -
১. চেহারা আগের চেয়ে অনেক সুন্দর হবে ,চেহারার মধ্যে একধরনের শান্তি-শান্তি ভাব থাকবে !
২. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে !
৩. বিভিন্ন শারীরিক অসুখ যেমন- ডায়াবেটিক , উচ্চরক্তচাপ ,গ্যাস্ট্রিক ,মাথা ব্যথা সহ আরো অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে ! ৪. এর মাধ্যমে যেকোনো ধরনের নেশা যেমন -ধুমপান ,ফেইসবুক আসক্তি কিংবা কম্পিউটার গেম আসক্তি ইত্যাদি সহ আরো অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে ! এইহলো মোটামুটি মেডিটেশন এর সুফলগুলো ! তবে সত্যি বলতে কি এত সংক্ষিপ্ত জায়গায় মেডিটেশন এর উপকারিতা সম্পর্কে বলা সম্ভব না, বলতে চাইলেও কেউ মনোযোগ দিয়ে হয়ত পরবেনা ! এইখানে শুধু একটু প্রাথমিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি !
আশা করি কাজে আসবে ধন্যবাদ I ভিডিও গুলোঃ 1.পাবলিক স্পিকিং এ ভয় ও জড়তা দূর করার উপায়-https://youtu.be/DRo5eAAdUUE 2.সুখী হবার বৈজ্ঞানিক উপায়.